আমেই ঝুলে থাকলো রাজশাহীর ‘লকডাউন’

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে আমের ভরা মৌসুমের কারণে ‘বিশেষ লকডাউনের’ সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি প্রশাসন। তবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় রাজশাহীতে চলমান বিধিনিষেধ আরও বাড়ানো হয়েছে। এখন থেকে বিকেল ৫টায় শপিংমল-মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ করতে হবে। সোমবার থেকে এই নিয়ম কার্যকর হবে। এর আগে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দোকানপাট খোলা রাখা যাচ্ছিল।

করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রোববার (৬ জুন) বিকেলে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে জরুরি সমন্বয় সভা হয়েছে। সভায় বিশেষ লকডাউন না দিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গত ২ জুন রাজশাহী জেলা প্রশাসন নির্দেশনা জারি করেছিল- সন্ধ্যা ৭টায় দোকানপাট বন্ধ করতে হবে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় বিভিন্ন মহল থেকে কঠোর লকডাউনের দাবি উঠেছিল। এর প্রেক্ষিতে শনিবার (৫ জুন) বিকেলে ১৪ দলের রাজশাহীর নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি দেন। এ নিয়ে পরদিন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হলো।

সভা শেষে সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, জেলা প্রশাসন এরই মধ্যে সন্ধ্যা ৭টা থেকে বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল। এই সময়টা আরও দুই ঘণ্টা এগিয়ে আনা হলো। এখন বিকেল ৫টা থেকে পরদিন ভোর ৬টা পর্যন্ত শপিংমল-মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ থাকবে। সোমবার থেকেই এ নিয়ম কার্যকর হবে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাজশাহীতে লকডাউন না দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে রাজশাহীর মেয়র বলেন, জীবন ও জীবিকাও বাঁচাতে হবে। রাজশাহীতে এখন আমের ভরা মৌসুম চলছে। আর এই মুহূর্তে লকডাউন দিয়ে দিলে দুই বা আড়াই হাজার কোটি টাকার আমের ব্যবসা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়বে। মানুষের জীবন আরও কঠিন হয়ে পড়বে। আমরা তিন থেকে পাঁচদিন পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবো। তারপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবো।

রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. হুমায়ুন কবীর, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আব্দুল বাতেন, রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক, রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামানিক দেবু।

ইউকে/এসই/এসএম