নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর পবা উপজেলার সারংপুর গ্রামে সৎ ভাইদের হাতে ঈসমাইল হোসেন (৪০) নামের এক ব্যক্তি খুন হয়েছেন। ইসমাইল ওই গ্রামের আবদুল বাকীর ছেলে। বুধবার (৯ জুন) রাতে তার হামলার ঘটনা ঘটে। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার (১০ জুন) দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর নিহত ঈসমাইলের মামা কামরুজ্জামানের দাবি- তার ভাগনেকে সৎ ভাই সাফি (৩২), জোহর (২২) এবং জোহরের স্ত্রী রত্না খাতুন (২০) মিলে ঈসমাইলকে খুন করেছে৷ তারা ঘটনার পর পালিয়েছে।
তার অভিযোগ বুধবার রাতে সাফি, জোহর ও রত্মা বাড়ির সামনে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে আতর্কিতভাবে ঈসমাইলের ওপর হামলা চালায়। তারা ধারালো হাসুয়া দিয়ে ঈসমাইলের মাথায় কোপ দেয়। এরপর রাতেই তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জানতে চাইলে- রাজশাহী পবা থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) বানী ইসরাইল বলেন, জমিজমা নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে এই হত্যকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পাওয়া গেছে।
তবে এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু হয়েছে। পরে বিস্তারিত জানা যাবে। নিহত ঈসমাইলের মরদেহ বর্তমানে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের মর্গে নেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। নিহতের বাড়ির সাথেই তার সৎ ভাইদের বাড়ি। তবে ঘটনার পর থেকে তারা সবাই পলাতক রয়েছেন। এ ঘটনায় পবা থানায় হত্যা মামালা দায়ের করা হবে বলেও জানান- পবা থানার এই পুলিশ কমকর্তা।
ইউকে/এসই/এসএম