| নঈম নিজাম |
পরাজিত দিল্লি সম্রাট বাহাদুর শাহকে ধরিয়ে দিয়েছিলেন আশ্রয়দানকারী এক ফকির। ইংরেজ কর্মচারী হাডসন দিল্লির রাজপথে গুলি করে হত্যা করেন সম্রাটের পুত্রদের। তারপর লাশ টানিয়ে রাখেন চাঁদনিচকের উন্মুক্ত স্থানে। হুমায়ুন সমাধিতে প্রথম পালিয়েছিলেন সম্রাট। ভেবেছিলেন ফকির-মিসকিন আর দরবেশদের কাছে নিরাপদ থাকবেন। সবাই দিল্লির বাদশাহকে আগলে রাখবেন। কোনো সমস্যা হবে না।
ইংরেজ সেনারাও টের পাবে না কিছুই। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সরে পড়বেন। বাদশাহকে পরিবারসহ বিপদের দিনে এক মুসলমান ফকির আশ্রয় দিলেন। বাদশাহ কৃতজ্ঞতা জানানোর আগেই সেই ফকির বললেন, দিল্লির সম্রাটকে অতিথি করেছি আল্লাহপাকের ইচ্ছায়। না হলে এ সৌভাগ্যের অধিকারী কখনো হতে পারতাম না। আপনি আমাদের সঙ্গে থাকুন। কোনো সমস্যা নেই। নিজেকে নিরাপদ মনে করলেন বাহাদুর শাহ। কিন্তু না, কথা রাখলেন না ফকির। লোভে পড়ে সম্রাটকে ধরিয়ে দেন ইংরেজ সেনাদের হাতে। গ্রহণ করেন পুরস্কার। বিদায়ের সময় বাহাদুর শাহ হতবিহ্বল চোখে তাকিয়ে দেখলেন ফকিরকে। দুই চোখজুড়ে শুধুই বিস্ময়। বিশ্বাস আর আস্থার জায়গাগুলো এভাবে শেষ হয়ে যায়। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সবারই আসা-যাওয়া ছিল ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে। খুনি ডালিমকে কত দিন রান্না করে খাইয়েছিলেন। অদ্ভুত এক দুনিয়ায় বাস আমাদের। নিষ্ঠুরতার কারণে সমাজ-সংসারে আপন-পর চেনা যায় না। চারপাশের মানুষগুলো হুট করে বদলে যায়। মানুষই পারে গিরগিটির মতো নিজেদের বদলে ফেলতে। শেখ সাদি লিখেছেন, ‘হামা আজ দন্তে/গঁয়ের নলা কুনান্দ/সাদি আজ দন্তে/খেশতান ফরিয়াদ। ’ অর্থাৎ ‘নিজের হাতই যখন নিজের গালে চড় বসিয়ে দেয়, তখন হে সাদি! অন্যের হাতে মার খাওয়া নিয়ে খেদ বা দুঃখ কী?’ বাহাদুর শাহ কোনো আফসোস করেননি আশ্রয়দানকারীর বিশ্বাসঘাতকতায়। বয়োবৃদ্ধ মানুষটি শুধু থমকে গিয়েছিলেন। বাহাদুর শাহকে ইংরেজ বেনিয়ারা নির্বাসনে পাঠায় রেঙ্গুনে। শেষ জীবনে নিঃসঙ্গ ছিলেন বাদশাহ। সময় কাটাতেন কবিতা লিখে। নিজের অসহায়ত্বের কথাই বেরিয়ে আসত সে কবিতায়। ভাগ্যবান মানুষ আমি। বাহাদুর শাহের মাজার জিয়ারতের সুযোগ পেয়েছিলাম। ইয়াঙ্গুনে বাহাদুর শাহের মাজার জিয়ারতের সময় বলেছিলাম, ‘হে আল্লাহ! এই মানুষটি দিল্লির সম্রাট ছিলেন। দুনিয়ার এই বাদশাহর শেষ জীবনটা ছিল কষ্টের। দুঃসময়ে আশ্রয়দানকারীর বিশ্বাসঘাতকতায় সন্তানদের হারিয়ে নির্বাসনের জীবন কাটাতে হয়েছিল বাদশাহকে। আপনি ভারতবর্ষের শেষ বাদশাহকে হেফাজতে রাখুন। ’
সময় বয়ে যায়। সময়ের সঙ্গে বদলে যায় পৃথিবীও। বিশ্ববাস্তবতায় ভেবেছিলাম করোনাকাল মানুষকে বদলে দেবে। কিন্তু বাস্তবতার কঠিন চিত্র আগের চেয়েও জটিল হয়ে উঠছে। সমাজ ও ব্যক্তি জীবনে বেড়ে গেছে হিংসা-বিদ্বেষ, নিষ্ঠুরতা। একদল মানুষ নিজেদের মনে করে ধোয়া তুলসী পাতা। পোপ, ধর্মগুরু বা মাদার তেরেসার আপন ভাইবোন। তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পড়লে তা-ই মনে হয়। অথচ তাদের ফেসবুক লেখনী পড়লে দেখতে পাই ঈর্ষা, হিংসা-বিদ্বেষ আর নোংরামি। নষ্টদের পৈশাচিক উল্লাসের শেষ নেই। মানবিকতা শেষ হয়ে গেছে। আগে কারও খারাপ খবরে ১০ গ্রামের মানুষ ছুটে আসত। এখন ১২ গ্রামের মানুষ নিষ্ঠুর আনন্দ পায়। আগে সাহিত্য, শিল্প, সংস্কৃতি, চলচ্চিত্রে মানুষের অস্তিত্ব পাওয়া যেত। উত্তম-সুচিত্রার রোমান্টিসিজম আকুল করে তুলত পুরনো দিনের মানুষগুলোকে। সেই গান, সেই সুর, সেই ছবি আর নেই। পূর্ণেন্দু পত্রীর কথোপকথনে মুগ্ধ হয় না এখনকার তারুণ্য। সুনীলের নীরার সন্ধানে কেউ বের হয় না এখন। সমরেশের কালবেলা, কালপুরুষ, উত্তরাধিকার নিয়ে আড্ডা নেই। চোখের জল ফেলে না কেউ শরৎ পড়ে। ফালগুনী, নীহাররঞ্জনের নামও হয়তো অনেকে শোনেনি। মাসুদ রানা, দস্যু বনহুর, কুয়াশা সিরিজেরও চাহিদা নেই। কোথায় যেন হারিয়ে গেছে সেই দিনগুলো কেউ জানি না। এখন চলছে এক টিকটক জমানা। মায়া-মমতার বালাই নেই। নোংরামি, অসুস্থতা, মাদকে হচ্ছে সর্বনাশ। শহীদ মিনারের ঘটনাটি ভয় ধরিয়ে দিয়েছে। কী করে সম্ভব এক তরুণের নিজেকে নিজে শেষ করে দেওয়া।
সামাজিক, রাজনৈতিক, নৈতিক অবক্ষয়ের টিকটক প্রজন্মের যুগে ভালোবাসা, মায়া-মমতা কাউকে আঁকড়ে রাখতে পারছে না। কেউ জানে না ভালোবাসার জোর রাজা-বাদশাহর ক্ষমতার থেকে বেশি। সম্রাট শাহজাহান ভালোবাসাকে স্মরণীয় করতে তাজমহল নির্মাণ করেছেন। আবার সেই ভালোবাসার দৃষ্টান্ত তাজমহলের ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরই পুত্র আওরঙ্গজেব। রাষ্ট্রীয় কোষাগারের অর্থ ব্যয়ের অভিযোগ এনে আওরঙ্গজেব বন্দী করেন পিতাকে। শাহজাহানের স্বপ্ন ছিল যমুনার অন্য তীরে কালো পাথরের আরেকটি তাজমহল গড়ার। শুরু করেছিলেন। পারেননি। মানুষের সব স্বপ্ন কখনো পূরণ হয় না। আকবরপুত্র জাহাঙ্গীর বাদশাহি ছেড়ে বারবার বিদ্রোহ করেছেন, শুধু আনারকলির প্রেমের জন্য। সেই জাহাঙ্গীরের জীবনে আবার নূরজাহানও এসেছিলেন। ভালোবাসার কারণে এক জীবনে কত কিছুই হয়ে যায়। রাজা প্রজার ভালোবাসায় আবার অনেক ফারাক। দিল্লিবাসী একবার বিপাকে পড়েছিল সুলতান গিয়াসুদ্দিন তুঘলককে নিয়ে। একদিকে ছিল বাদশাহের ইমারত নির্মাণের কাজ, আরেকদিকে সাধারণ মানুষের পানি সমস্যা নিরসন। মানুষের পাশে ছিলেন একজন ফকির। বাদশাহি নির্দেশের চেয়ে সাধারণ মানুষের কাছে ফকিরের ভালোবাসাই ছিল বেশি। সেই ফকিরের নাম নিজামুদ্দিন আউলিয়া। দিল্লিতে পানি সংকট নিরসনে নিজামুদ্দিন আউলিয়া সিদ্ধান্ত নিলেন জলাশয় খনন করবেন। আর গিয়াসুদ্দিন তুঘলক ব্যস্ত ছিলেন দিল্লির বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণে। শহরের নিরাপত্তাপ্রাচীর নির্মাণের কাজে যোগ দিতে শ্রমিকদের নির্দেশ দিলেন বাদশাহ। বাদশাহের কাজে অর্থ মিলবে। আউলিয়ার কাজে শুধুই ভালোবাসা। শ্রমিকরা গোপনে দরবেশের আহ্বানে সাড়া দিতে থাকলেন। তারা শুরু করলেন জলাশয় খননকাজ। তুঘলক টের পাননি। জরুরিভাবে অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ দমনে দিল্লি ছাড়লেন তিনি। পুত্র মুহাম্মদকে দিল্লি দেখভালের দায়িত্ব দিয়ে যান। জানিয়ে যান দ্রুত প্রাচীর নির্মাণকাজ শেষ করতে। সবাই জানতেন, গিয়াসুদ্দিন ছিলেন নিষ্ঠুর শাসক। তাঁর সাহস, শক্তি, বীরত্বের পাশাপাশি নিষ্ঠুরতা ছিল ভয়াবহ। তিনি কান্ডজ্ঞানহীনভাবে অনেক কাজ করতেন। যার আগামাথা খুঁজে পাওয়া যেত না। মন চাইলে কাউকে পুরস্কৃত করতেন আবার কারও কল্লা কাটতেন। এসব কান্ডকীর্তি নিয়ে প্রবাদ শুরু হয় ‘তুঘলকি কান্ড’। লোকমুখে এখনো কথাটি প্রচলিত।
সেই তুঘলকের ভয়কে এড়িয়ে দিল্লির শ্রমজীবী মানুষ যোগ দিলেন পানির জন্য জলাশয় খননে। বাদশাহর নগরপ্রাচীরের নির্মাণকাজ থমকে গেল। সাধারণ মানুষের জন্য জলাশয় খনন করে স্বস্তিতে ছিলেন নিজামুদ্দিন আউলিয়া। আউলিয়ার ভক্তকুল রাজদরবারেও ছিল। তাদের একজন এসে জানাল, অচিরেই দিল্লি ফিরছেন গিয়াসুদ্দিন তুঘলক। বিদ্রোহ দমনসহ ছোটখাটো সব ঝামেলা তিনি কঠোরভাবে দমন করেছেন। দিল্লি ফিরে তিনি নগরপ্রাচীর নির্মাণ না দেখলে ক্ষুব্ধ হতে পারেন। তাই ভক্তরা নিজামুদ্দিন আউলিয়াকে পরামর্শ দিল দিল্লি থেকে দূরে চলে যেতে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার ফিরতে। সবার কথা শুনলেন নিজামুদ্দিন। তারপর ভক্তকুলের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘দিল্লি দূর অস্ত’। মানে, দিল্লি অনেক দূর। সবাই বাড়ি ফিরে গেল। কিন্তু মুরিদদের মনে শান্তি নেই। কারণ সুলতান দ্রুত ফিরে আসছেন। আর নিজামুদ্দিন আউলিয়া গুরুত্ব দিচ্ছেন না। উৎকণ্ঠা নিয়ে ভক্তরা প্রতিদিন আউলিয়ার সামনে গিয়ে হাজির হতো। তাদের আকুতি-মিনতি বাড়তে থাকল। তাদের এক কথা, আপনি সরে যান। তুঘলক নিষ্ঠুর মানুষ। আপনার সম্মান ক্ষুণ্ণ করবে। প্রতিবারই নিজামুদ্দিন একই জবাব দেন, দিল্লি দূর অস্ত। সর্বশেষ জানা গেল দু-এক দিনের মধ্যে সুলতান গিয়াসুদ্দিন ফিরছেন। তিনি দিল্লির কাছাকাছি। এবার সবাই দল বেঁধে গেলেন নিজামুদ্দিন আউলিয়ার সামনে। বললেন, তিনি কাছাকাছি চলে এসেছেন। এবার আর আপনার দিল্লিতে থাকার দরকার নেই। হাসলেন ফকির। তারপর হাতের তসবিহ ওপরে তুলে ধরে বললেন, ‘দিল্লি হনুজ দূর অস্ত’। দিল্লি এখনো অনেক দূর।
সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সুলতান গিয়াসুদ্দিন তুঘলক দিল্লি আসেন। রীতি অনুযায়ী দিল্লির প্রবেশমুখে বিশাল সংবর্ধনার আয়োজন করা হয় রাষ্ট্রীয়ভাবে। প্রথমে তিনি সংবর্ধনায় যোগ দেবেন। তারপর প্রবেশ করবেন দিল্লি শহরে। সেভাবেই সব আয়োজন। সুলতানের পুত্র মুহাম্মদ নিজে তদারকি করছিলেন সবকিছুর। সুলতান ফিরলেন বিজয়ীর বেশে। বিশাল শামিয়ানা, প্যান্ডেল করা হয়েছে। হাজার হাজার মানুষের ভোজেরও ব্যবস্থা ছিল। রেওয়াজ অনুযায়ী শুরুতে ছিল অশ্বারোহী বাহিনী ও হাতির কুচকাওয়াজ। পুত্র মুহাম্মদ গিয়ে অনুমতি প্রার্থনা করলেন অনুষ্ঠান শুরুর। শাহেনশাহ অনুমতি দিলেন। মুহাম্মদ এগিয়ে গেলেন। মুহুর্তে একটি হাতির শিরসঞ্চালনে কাঠের পাটাতন ভেঙে পড়ল। শুরু হলো হুড়োহুড়ি। হাতিরা ছুটতে শুরু করল। পুরো ডায়াস ভেঙে লন্ডভন্ড। বড় বড় কাঠের থাম ভেঙে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটল। উদ্ধারকাজ শেষ করতে লেগে গেল একদিন। সুলতান গিয়াসুদ্দিন তুঘলক নিহত হলেন। সঙ্গে পুত্রও মারা গেলেন। গিয়াসুদ্দিন তুঘলকের জন্য দিল্লি আসলেই অনেক দূর ছিল। দিল্লি গেলে নিজামুদ্দিনের মাজারে যাই। নিজের মতো করে জিয়ারত করি। প্রার্থনা করি নিজামুদ্দিনে শুয়ে থাকা সবার জন্য। দিল্লিতে সুলতান গিয়াসুদ্দিনের স্থাপনাগুলোর কোনো অস্তিত্ব নেই। নিজামুদ্দিন আউলিয়ার মাজারে ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে মানুষের ভিড়। সম্রাট শাহজাহানকন্যা জাহানারাকেও তাঁর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী নিজামুদ্দিনে সমাহিত করা হয়। জাহানারা বন্দী শাহজাহানকে দেখাশোনা করতেন। বাবার সেবাযত্নে নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন। অথচ এ শাহজাহানই কন্যা জাহানারার প্রেমকে মানতে পারেননি একদা। নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেন কন্যার প্রেমিককে। ভাইদের ঝগড়া-বিবাদ, আওরঙ্গজেবের হাতে ভাইদের মৃত্যু, শোকাহত বন্দী পিতাকে জাহানারাই সামাল দিয়েছেন। নিজামুদ্দিনে কবি গালিবের কবর রয়েছে। গালিব লিখেছেন, ‘দর্দ মিন্নতকশে দাওয়া না হুয়া/হাম না আচ্ছা হুয়ে বুরা না হুয়া’। অর্থাৎ, বেদনা নিধনের মিনতি করেনি/আমি ভালো হলাম না, মন্দ হয়নি।
মানুষ খুব দ্রুত বদলে যায়। চেনা মানুষগুলোর মুখ অচেনা হয়ে পড়ে অতি সহজে। আজকাল জগৎ-সংসার, খোলা আকাশটা কেমন যেন বিবর্ণ মনে হয়। বেতারে একসময় শিল্পী আবদুল আলীমের ভরাট কণ্ঠে শুনতাম, ‘এ সংসারে কেউ নয় আপনজনা/চিনে নে তোর আপনারে ওরে অবুঝমনা’।
সিরাজ সাঁইয়ের মুখে মানুষের কথা শুনে লালন তাঁর শিষ্যত্ব নিয়েছিলেন। বিশ্বাস, ত্যাগ, ধর্ম-বর্ণের ঊর্ধ্বে নিয়ে গিয়েছিলেন নিজেকে। লালন বলেছেন, ‘এই মানুষে আছেরে মন, যারে বলে মানুষ রতন, লালন বলে পেয়ে সে ধন, পারলাম না চিনিতে’। মানুষের পরিবর্তনগুলো হয় খুব দ্রুত। ডিজিটাল দুনিয়ায় আপন-পর বলে কিছু নেই। আবেগ-অনুভূতির জায়গাগুলো শেষ হয়ে যাচ্ছে। ধর্ম-বর্ণ এখন নানামুখী বিরোধে আক্রান্ত। এ যুগে ফকির লালন বেঁচে থাকলে কী হতো জানি না। তবে এটুকু বলতে পারি, মানুষ তাঁকে শান্তি দিত না। ভালো থাকতে দিত না। কাজী নজরুল ইসলাম সেই যুগে চার সন্তানের নাম রেখেছিলেন, কৃষ্ণ মুহাম্মদ, অরিন্দম খালেদ বুলবুল, কাজী সব্যসাচী ও কাজী অনিরুদ্ধ। কপাল ভালো, এ যুগে জন্ম নেননি নজরুল। আধুনিক যুগে ছেলের নাম কৃষ্ণ মুহাম্মদ রাখলে পরিণতি কী হতো জানি না।
লেখক: সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন