বাংলার প্রকৃতিতে বর্ষার পদধ্বনি

বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: মৌসুমি বায়ু তথা বর্ষা সমগ্র দেশের উপর বিস্তার লাভ করছে। এমনকী তা বিস্তৃত হয়েছে উত্তরে আসাম পর্যন্ত। ফলে বৃষ্টিপাত ক্রমান্বয়ে বাড়বে। তবে অতিভারী বর্ষণের কোনো আশঙ্কা আপাতত নেই।

আবহাওয়া অফিস জানায়, ১৪ থেকে ১৬ জুন বৃষ্টিপাত বেড়ে আবার কমে যাবে। কিছুদিন পর আবার বাড়বে। কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হবে। কোথাও হবে ভারী বর্ষণ। বর্ষার স্থায়ীত্ব হবে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানান, উত্তর-পশ্চিম ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ বিরাজ করছে। এছাড়া মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ উত্তর প্রদেশ, বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় বিরাজ করছে।

লঘুচাপের কারণে সাগর কিছুটা উত্তাল অবস্থায় রয়েছে। তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় তোলা হয়েছে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত। এদিকে নদীবন্দরগুলোতে দেখাতে বলা হয়েছে এক নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত।

আবহাওয়ার বর্তমান অবস্থায় সোমবার (১৪ জুন) সন্ধ্যা নাগাদ ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

এছাড়া দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকলেও কমবে রাতের তাপমাত্রা। ঢাকায় এসময় দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিমি, যা দমকা আকারে ৩০ থেকে ৪০ কিমিতে উঠে যেতে পারে।

রোববার (১৩ জুন) দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে নিকলিতে ৪৩ মিলিমিটার। ঢাকায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে ২ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সিলেটে ৩৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ইউকে/এসএম