নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী হোটেল ওয়ারিশানে শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) এ্যাসোসিয়েশন ফর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট-এসিডি’র আয়োজনে এবং অক্সফাম ইন বাংলাদেশ-এর সহযোগিতায় তানোরের চান্দুড়িয়া ইউনিয়নের একদল আদিবাসী নারী কৃষকদের অংশগ্রহণে দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ‘কৃষি বাস্তুুবিদ্যা ও নেতৃত্ব উন্নয়ন: দক্ষতা সহায়ক প্রশিক্ষণ’ শেষ হয়। প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর সুব্রত পালের সঞ্চালনায় সহায়ক হিসেবে কৃষিবিদ মিজানুর রহমান। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ড. হেমায়েতুল ইসলাম আরিফ প্রশিক্ষণটি পরিচালনা করেন।
প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীরা জলবায়ু ঝুঁকি ও প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা, সহনশীল জীবিকা উন্নয়ন কৌশল, ফসলের বহুমুখীকরণ ও পানি সংরক্ষণ, পরিবেশবান্ধব ও টেকসই কৃষি, নীতি পরামর্শ ও আলোচনার কৌশল, জলবায়ু অর্থায়ন ব্যবস্থাপনা, অর্থায়নে প্রবেশাধিকার, নারীবান্ধব ও যুব-কেন্দ্রিক সুযোগ, নেতৃত্ব বিকাশ এবং কমিউনিটি বাস্তবায়ন পরিকল্পনা বিষয়ে ধারণা লাভ করেন।
২৫ জন আদিবাসী নারী কৃষকের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এই প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য ছিল আদিবাসী নারী কৃষকদের সংগঠিত করা, তাদের ক্ষমতায়ন ও নেতৃত্ব বিকাশে সহায়তা করা, এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় নারীবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে টেকসই সমাধান তৈরি করা।
প্রথম দিনে অংশগ্রহণকারীরা এগ্রোইকোলজি, পরিবেশবান্ধব কৃষি পদ্ধতি ও মাটির স্বাস্থ্য সংরক্ষণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তারা জানতে পারেন কীভাবে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের বিকল্প পদ্ধতি ব্যবহার করে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব। দ্বিতীয় দিনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল নারী নেতৃত্বের বিকাশ, উদ্যোক্তা দক্ষতা, ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতা বৃদ্ধি। অংশগ্রহণকারীরা নারী অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ও কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে নারীর ভূমিকা বিষয়ে ধারণা লাভ করেন।
প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীরা জানান, এই উদ্যোগ তাদের আত্মবিশ্বাস, নেতৃত্বের দক্ষতা এবং কৃষি ব্যবস্থাপনায় সক্রিয় ভূমিকা পালনে অনুপ্রেরণা জোগাবে। তারা বিশ্বাস করেন, এ ধরনের প্রশিক্ষণ আদিবাসী নারীদের কৃষিতে অংশগ্রহণ বাড়াবে এবং টেকসই কৃষি উন্নয়নে নারী নেতৃত্বের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
ইউকে/আরএস/এসই