নিজস্ব প্রতিবেদক: জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় উদ্ভুত পরিস্থিতির সাথে নিজেদেরে খাপ খাইয়ে নিতে হবে। আর এই কাজটি নিজ নিজ জায়গা থেকেই শুরু করতে হবে বলে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত এক অংশীজন সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বক্তারা এই মন্তব্য করেন। রাজশাহীর হোটেল ওয়ারিশানে অ্যাসোসিয়েশন ফর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট-এসিডি’র আয়োজনে জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা, অভিযোজন বিষয়ে এই অংশীজন সভা অনুষ্ঠিত হয়। অক্সফাম ইন বাংলাদেশ-এর সহযোগিতায় কাল্টি ভেটিং চেঞ্জ কর্মসূচির অধীনে এই সভা হয়।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. দীপকেন্দ্র নাথ দাসের সভাপত্বিত্বে অংশীজন পরামর্শ সভার শুরুতে প্রকল্প সম্পর্কে উপস্থাপন করেন “কাল্টিভেটিং চেঞ্জ” প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী সুব্রত কুমার পাল।
অনুষ্ঠানের অতিথি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক এটিএম গোলাম মাহবুব বলেন ‘জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে নিজেদেরে খাপ খাইয়ে নিতে হবে, নিজেদের জায়গা থেকে শুরু করতে হবে। এই ধরনের পরামর্শ সভা আমাদের কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়তা করবে। বরেন্দ্র অঞ্চলকে জলবায়ু সহনশীল করে তোলার জন্য সকলের সম্মিলিত অংশগ্রহণ জরুরী।’
পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক কবির হোসেন বলেন, ‘সকল স্তরে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ম্যাধমে আমরা যেমন একটি বৈষম্যমুক্ত সমাজ বিনির্মাণ করতে পারি, সেই চেষ্টা করতে হবে।’
তিনি বলেন, জলবায়ুর সবচেয়ে বেশী সংকটে রয়েছেন নারীরা। তাই তাদের পাশে এবং নারী নেতৃত্বে জলবায়ু সহনশীলতায় ভূমিকা রাখতে, ঐতিহ্যগত কৃষি জ্ঞান কাজে লাগানোর আহ্বান জানান তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ড. দীপকেন্দ্র নাথ দাস বলেন, ‘খরা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের কৃষকদেরকে ঐতিহ্যগত চাষাবাদ পদ্ধতির সঙ্গে আধুনিক প্রযুক্তি যুক্ত করতে হবে। পানি সংরক্ষণে সকলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে ফসলের চাষাবাদে ইতিবাচ পরিবর্তন পড়বে।’
একজন নারী কৃষক অলিভিয়া বিশ্বাস বলেন, ‘আগে আমরা একধরনের ফসল করতাম। এখন আমরা বৈচিত্র্য এনেছি। এতে খরার সময়ও কিছু ফসল টিকে যায়, জীবিকা চলে।’
সভায় বক্তারা বলেন, বরেন্দ্র অঞ্চলে খরা পরিস্থিতি দিন দিন তীব্র হচ্ছে, যার ফলে খাদ্য উৎপাদন ও জীবিকা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তারা টেকসই কৃষি পদ্ধতি, পানি সংরক্ষণ এবং স্থানীয় জ্ঞানের ব্যবহারকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলার কার্যকর উপায় হিসেবে তুলে ধরেন।
অংশীজন পরামর্শ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএসএস এর স্পেশাল করসপন্ডেন্ট ড. আইনুল হক, বন নিভাগের ডেপুটি রেঞ্জার মো. আমজাদ হোসেন, বাংলাদেশ লাইভস্ট সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ড. হেমায়েতুল ইসলাম আরিফ, কৃষি তথ্য সার্ভিস এর দেলোয়ার হোসেন, দৈনিক ইত্তেফাক স্টাফ রিপোর্টার মো. আনিসুজ্জামান, সিনিয়র সাংবাদিক মামুন-অর-রশীদ, সিনিয়র সাংবাদিক শরীফ সুমন, উত্তরা প্রতিদিনের সম্পাদক এনায়েত করিম, নারী নেত্রী আলিমা খাতুন লিমা, ব্র্যাকের সহকারি জেলা সমন্বয়ক ফারজানা নাসরিন, সময় টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার মওদুদ রানা, নারী কৃষক শ্যামলী টুডু প্রমূখ।
ইউকে/আরআর/এসই