বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তিতে পরীক্ষা পদ্ধতি ফিরিয়ে আনার জোরাল দাবি উঠলেও তা আমলে নেয়নি শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষকদের আপত্তি সত্ত্বেও আগামী শিক্ষাবর্ষে নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে লটারির মাধ্যমেই শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়েছে।বুধবার (২৯ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব রেহানা পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়। শিগগিরই এ সংক্রান্ত বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
সভায় উপস্থিত শিক্ষা বোর্ডের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কালবেলাকে জানান, এবারও লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি বলেন, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের পক্ষ থেকে পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তির দাবি নিয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে। তবে লটারি প্রথা বাতিল করা একটি বড় ব্যাপার। এই ধরনের সিদ্ধান্ত একটি নির্বাচিত সরকারই নিতে পারে। তাই বিদ্যমান পদ্ধতিই বহাল রাখা হয়েছে।
এর আগে সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা লটারির বদলে প্রতিযোগিতামূলক ভর্তি পরীক্ষা পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি (বাসমাশিস) শিক্ষা সচিবের কাছে লিখিতভাবে এই আবেদন জানায়।
শিক্ষকদের আবেদনে বলা হয়, শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ ও অভিভাবকের উৎকণ্ঠা লাঘবে সব শ্রেণিতে লটারির পরিবর্তে ভর্তি পরীক্ষা জরুরি। অন্যথায়, দেশের বিভিন্ন স্থানে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির আশঙ্কা রয়েছে।
তবে শিক্ষকদের এই দাবির সঙ্গে একমত নয় অভিভাবক ঐক্য ফোরাম। তারা লটারির মাধ্যমেই ভর্তি প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হবে বলে মনে করে। ফোরামের নেতারা এক বিবৃতিতে জানান, লটারি চালু থাকলে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ভর্তি কোচিংয়ের অশুভ প্রতিযোগিতা থেকে রেহাই পাবে। তারা লটারির পাশাপাশি সব ধরনের কোটা বাতিলেরও দাবি জানান।
ইউকে/জেআর/এসই