জমির জন্য রাজশাহীতে ঝরলো দুই প্রাণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী মহানগরীর দাসপুকুর এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে দুই জন নিহত হয়েছেন। নিহত দুই জন দুই পক্ষের। আজ বুধবার (৩০ জুন) দুপুর সোয়া একটার দিকে মহানগরীর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দাসপুকুর এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে দুই পক্ষের কমপক্ষে ৮-১০ জন আহত হয়েছেন।

নিহত দুইজন হলেন- ওই এলাকার সাজদার রহমানের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৫০) ও গিয়াস উদ্দিনের ছেলে জয়নাল আবেদীন (৪০)। এরমধ্যে জয়নাল রাজশাহী সিটি করপোরেশনের তিন নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল হোসেনের ভাইয়ের ছেলে। আর নিহত শফিকুল রাজশাহী মহানগর বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। অভ্যন্তরীন দ্বন্দ্বে তিনি পরে দল থেকে পদত্যাগ করেন।

দুপুরে উভয় পক্ষের সংঘর্ষের পর জয়নাল ও শফিককে উদ্ধার করে মুমূর্ষু অবস্থায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। বর্তমানে আহতরা হাসপাতালের আট নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।

সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ দুই জনকে হাসপাতাল এলাকা থেকে আটক করেছে। তাদেরকে মহানগরীর রাজপাড়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও কয়েকজনকে থানায় নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান- নিহত বিএনপির সাবেক নেতা শফিকুল ইসলাম ও তার বড় ভাই আবদুস সালাম একটি পক্ষ। আর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল হোসেন ও তার ভাই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহাতাব হোসেন একটি পক্ষ।

দীর্ঘদিন ধরেই তাদের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। ওই বিরোধের জের ধরেই আজ তারা ধারালো অস্ত্রসস্ত্রসহ সংঘর্ষে লিপ্ত হন। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের দুই জনের প্রাণ যায় এবং তাদের পক্ষের লোকজন গুরুতর আহত হন।

রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরেই এই সংঘর্ষের সূত্রপাত। সংঘর্ষের পর মুমূর্ষু দুই জনকে রামেক হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। আহত অবস্থায় আরও ৮-১০ জন বর্তমানে চিকিৎসাধীন।

আহতদের বেশীরভাগের আঘাত মাথায়। ঘটনার পর কয়েকজনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা হবে বলেও জানান- এই পুলিশ কর্মকর্তা।

ইউকে/এসই/এসএম