৪৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ

বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: করোনার মধ্যেও একের পর এক রেকর্ড হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে। মাত্র ২৬ দিনের ব্যবধানে রিজার্ভে আরো এক বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ডলার যোগ হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশে প্রথমবারের মতো ৪৬ বিলিয়ন বা চার হাজার ৬০০ কোটি ডলারের নতুন মাইলফলক অতিক্রম করল রিজার্ভ। এই রিজার্ভ দিয়ে প্রায় ১১ মাসের আমদানি দায় মেটানো সম্ভব হবে।

চলতি বছরের মধ্যেই রিজার্ভের পরিমাণ ৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হওয়ার আশা করছে সরকার। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর ভর করেই রিজার্ভ এই নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। এ ছাড়া রপ্তানি আয় ও বৈদেশিক ঋণ সহায়তা ভূমিকা রিজার্ভ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার রিজার্ভ ৪৬ বিলিয়নের ঘর অতিক্রম করে। দিনশেষে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৬.০৮ বিলিয়ন বা চার হাজার ৬০৮ কোটি ডলার। এর আগে গত ৩ মে প্রথমবার রিজার্ভ ৪৫ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করে। আর গত ২৫ ফেব্রুয়ারি তা ৪৪ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করে।

করোনার বছর হওয়ার পরও ২০২০ সালেই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ১০ বার নতুন মাইলফলক অতিক্রম করে। এক বছরে এত বেশি রেকর্ড গড়ার বিষয়টি এর আগে কখনোই হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত বছরের ৩ জুন বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো রিজার্ভ ৩৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। তিন সপ্তাহের ব্যবধানে ২৪ জুন সেই রিজার্ভ আরো বেড়ে ৩৫ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই ৩০ জুন রিজার্ভ ৩৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। এক মাস পর ২৮ জুলাই রিজার্ভ ৩৭ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে। এর তিন সপ্তাহ পর ১৭ আগস্ট রিজার্ভ ৩৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। এরপর দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ১ সেপ্টেম্বর তা ৩৯ বিলিয়নের ঘর অতিক্রম করে।

২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠালে ২ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। এই প্রণোদনা দেওয়ার পর থেকে অনেকটা ঝোড়ো গতিতে বাড়ছে রেমিট্যান্স।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের দুই দিন বাকি থাকতেই সাড়ে ২৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে সাড়ে ৩৬ শতাংশ বেশি, যা নতুন রেকর্ড।

এর মধ্যে জুনের প্রথম ২৮ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৮০ কোটি ৩১ লাখ ডলার। গত বছরের প্রথম ২৮ দিনে রেমিট্যান্স আসে ১৬৫ কোটি ৯০ লাখ ডলার। এ ছাড়া গত মে মাসে দেশে রেমিট্যান্স আসে ২১৭ কোটি ডলার।

ইউকে/ এএস