করোনাকালীন একাকীত্বে

লাইফস্টাইল বিভাগ: প্রায় দেড় বছর ধরে করোনার তাণ্ডব চলছেই। প্রথমে ভিন্ন দেশে। এরপর নিজের শহরে আর এবার নিজেই আক্রান্ত মহামারি করোনায়। করোনার যুদ্ধ যতটা না শারীরিক ঠিক ততটাই মানসিকও।

আমরা ভালোবাসি সবার ভেতর থাকতে। করোনা আমাদেরকে সবার থেকে আলাদা করে একঘরে বন্দি করে দেয় দীর্ঘ সময়ের জন্য। করোনার নানা উপসর্গের সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতে শরীর যখন আর পেরে ওঠে না, একাকীত্বের কষ্ট ও অভিমান তখন প্রায়ই চোখের জলে জানান দিয়ে যায়।

প্রতিদিনের ব্যস্ততা থেকে একটু অবসর আমরা হয়তো অনেক সময়েই আশা করেছি কিন্তু এই অখণ্ড অবসরে সময় যেন থেমে যায়। সকালে থেকে রাত শুধু দেওয়ালের ঘড়ির সময়ই বলে দেয়। এই সময়টায় হার মানার সুযোগ নেই। করোনা থেকে জিততে হলে উপসর্গ দেখা দিলেই যা করতে হবে:

• সামান্য জ্বর আর গলা ব্যথা হলেও ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সোয়াব টেস্ট করাতে হবে।

• কোভিড-১৯ পজিটিভ এলে বাড়িতে, একটা বাথরুমসহ রুমে একা থাকবেন

• বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা থাকতে হবে

• তবে বাইরের দিকে জানলা থাকলে তা খুলে রাখতে হবে

• পালস অক্সিমিটার রাখতে হবে সঙ্গে যদি শ্বাস নিতে কষ্ট হয় সঙ্গে সঙ্গে শরীরের অক্সিজেনের পরিমাণ দেখে নেওয়া যাবে

• শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৪ এর থেকে কম হলে অক্সিজেন দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে

• এসময় উপুড় হয়ে শোয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। কারণ এতে শ্বাস-প্রশ্বাস বাড়ে ও ইনফেকশনের প্রবণতাও কমে

• ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়াতে নিশ্বাসের ব্যায়াম করতে হবে

• চিকিৎসকের পরামর্শমতো নিয়ম করে ওষুধ খেতে হবে

• ফল ও বাড়িতে রান্না করা খাবার খেতে হবে।

করোনা আক্রান্ত হলে সাধারণত আইসোলেশনে ১৪ দিন থাকতে হবে। এ সময়ে বাড়ির অন্য সদস্যদের অনেক বেশি সাবধান থাকতে হবে। এক্ষেত্রে প্রত্যেকেরই যথাযথ মাস্ক পরে থাকা দরকার।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, কোভিড-১৯ বা করোনায় আক্রান্তের বয়স, শারীরিক সুস্থতা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। করোনায় আক্রান্ত হলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই, যাদের সংক্রমণ কম হয়, তারা মাত্র এক সপ্তাহেরও কম সময়ে সুস্থ হয়ে ওঠেন। পর্যাপ্ত বিশ্রাম, বেশি করে তরল পান এবং খুব সাধারণ কিছু ওষুধ দিয়ে বাড়িতেই আলাদা রেখে চিকিৎসার মাধ্যমে এদের সুস্থ করা সম্ভব।

ইউকে/ এএস