কোন টিকায় করোনার কতটা সুরক্ষা!

লাইফস্টাইল বিভাগ: প্রায়ই শোনা যাচ্ছে দুই ডোজ টিকা নেওয়ার পরও অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। যদিও আশা করা হয়েছিল টিকা নেওয়ার পর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক কমে যাবে।

আর আমরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবো। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকা নেওয়ার পরও হতে পারে করোনা। কিন্তু করোনায় খুব বেশি ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি থেকে হয়তো কিছুটা মুক্তি মিলতে পারে।

বিশ্বে করোনা ঠেকাতে বেশ কয়েক ধরনের টিকা বা ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। তবে কোন করোনার ভ্যাকসিনের ইমিউনিটি কতদিন থাকবে বিষয়টি এখনো এই নিয়ে আছে ধোঁয়াশা।

অনেক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা টিকা রোগ জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে। কোন ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে তার ওপরেও নির্ভর করে অনেক কিছু। ভ্যাকসিনের অ্যান্টিবডির ইমিউনিটি থাকবে ছয় মাস থেকে এক বছর।

সম্প্রতি ভারতের জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম দ্যা টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের একটি নতুন গবেষণায় দেখেছে, ফাইজার-বায়োএনটেক এবং মর্ডানার ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ ৮০ শতাংশ এবং দ্বিতীয় ডোজ ৯০ শতাংশ কার্যকর। যাদের এই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে তাদের অন্যদের থেকে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কম।

ফাইজার-বায়োএনটেক ভ্যাকসিনগুলো দেওয়া মানুষের কমপক্ষে ৬ মাস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকবে। সিডিসির তালিকাভুক্ত অসুস্থ ব্যক্তিদের ওপর এটি শতভাগ কার্যকর এবং এফডিএর তালিকাভুক্তদের ক্ষেত্রে ৯৫.৩ ভাগ। ফাইজার-বায়োএনটেক ভ্যাকসিনটি দক্ষিণ আফ্রিকায়ও কার্যকর বলে জানা গিয়েছে।
এছাড়াও অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাটি প্রথমে আধা ডোজ এবং পরে পুরো ডোজ দেওয়া হলে তার কার্যকারিতা ৯০ শতাংশ পর্যন্ত হয়।

দেশে বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকার পর নতুন করে শুরু হচ্ছে করোনার টিকা দেওয়া। মহামারি করোনা থেকে বাঁচতে সুযোগ থাকলে অবশ্যই টিকা নিতে হবে। যেই দেশ বা প্রতিষ্ঠানের টিকাই সরকার ব্যবস্থা করতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, সংক্রমণ ছড়ানোকে বাধাগ্রস্ত করতে হলে ৬৫ থেকে ৭০শতাংশ মানুষের টিকা নিতে হবে।

ইউকে/এএস