রামেকে করোনায় আরও ১৮ জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার (৯ জুলাই) সকাল ৮টার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়েছে।

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, মৃতদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে তিনজন ও উপসর্গে ১৫ জন মারা গেছেন।

মৃতদের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ এবং পাঁচ জন নারী। এদের মধ্যে পাঁচজনের বয়স ৬১ বছরের ওপরে। এছাড়া ৫১-৬০ বছরের মধ্যে পাঁচ জন, ৪১-৫০ বছরের মধ্যে চার জন ও ৩১-৪০ বছরের এক জন, ২১-৪০ বছরের মধ্যে দুই ও ১১-২০ বছরের মধ্যে এক জন রয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালে মারা যাওয়া ১৮ জনের মধ্যে ১০ জনের বাড়ি রাজশাহী জেলায়। এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও নাটোরের দুই জন করে এবং কুষ্টিয়া ও সিরাজগঞ্জের একজন এবং পাবনা ও কুষ্টিয়ার একজন করে রোগী রয়েছেন।

করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে রোগীদের ভর্তি ও সংক্রমণের বিষয়ে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালে নতুন ভর্তি হয়েছেন ৭৪ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫২ জন। রামেকে করোনা আক্রান্ত হয়ে ২০৬ এবং সন্দেহভাজন ও উপসর্গ নিয়ে ২৩১ জন ভর্তি রয়েছেন। বর্তমানে রামেক হাসপাতালে ৪৫৪টি করোনা ডেডিকেটেড শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি ছিলেন ৫০১ জন।

এদিকে, করোনা শনাক্তের বিষয়ে হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালের পিসিআর মেশিনে ২৮২টি নমুনা পরীক্ষায় ১৮ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে।

অন্যদিকে, মেডিক্যাল কলেজের পিসিআর মেশিনে ২৮০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৭২ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। দুই ল্যাবের টেস্টে মোট ৫৬২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ১০৪ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। পরীক্ষা বিবেচনায় রাজশাহীতে সংক্রমণের হার ২৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ থেকে কমে ১৮ দশমিক ১৬ শতাংশে নেমেছে।

আর চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা শনাক্তের হার আবারও ২০ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০ দশমিক ৪৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ রোধে রাজশাহীতে গত ১১ জুন থেকে বিশেষ লকডাউন চলমান আছে। রামেক হাসপাতালে এই নয় দিনে মোট ১৫৬ জনের মৃত্যু হলো। এছাড়া গত জুনে ৪০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনা পজিটিভ ছিলেন ১৮৯ জন। অন্যরা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

ইউকে/এএস