গ্রীষ্মের নিষ্প্রাণ রুক্ষতা ছাপিয়ে সেজেছে প্রকৃতি

বিশেষ প্রতিবেদক: বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য মানেই ভিন্ন সাজে বাংলার প্রকৃতি। আকাশে গনগনে সূর্য। কাঠফাটা রোদ্দুরে তপ্ত বাতাস। গ্রীষ্মের এই নিষ্প্রাণ রুক্ষতা ছাপিয়ে প্রকৃতিতে কৃষ্ণচূড়া নিজেকে মেলে ধরে আপন মহিমায়। এ যেন প্রকৃতিজুড়ে কৃষ্ণচূড়ার লাল আভা। শুধু কৃষ্ণচূড়া নয়, রঙিন ফুলের পশরা বসেছে পুরো নগরীজুড়ে।

রাজশাহী মহানগরীর যেদিকে চোখ যায়, সেদিকেই ফুল। নগরীর রাস্তার মাঝখান দিয়ে চলে যাওয়া সড়কের পাশের গাছেও এখন শোভা পাচ্ছে রঙিন ফুল। লকডাউনের কারণে সড়কে যানবাহন ছিল কম। ফলে প্রকৃতি নির্মল বাতাসে নিজেকে মেলে ধরেছে।

নগরীর রেলগেট থেকে সিঅ্যান্ডবি মোড় পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তার সড়ক বিভাজনে সোভা পাচ্ছে ফুল আর সবুজে ছেয়ে যাওয়া নানা প্রজাতির গাছে। তবে ফুলগাছের সংখ্যায় বেশি। নগরীর সড়ক বিভাজন আর তার পাশের থাকা গাছগুলোতে যেনো বসেছে রঙিন ফুলের পশরা। পুরো নগরী ভরে উঠেছে সবুজ আর ফুলে ফুলে। এতে করে পথচারীদের মাঝে বাড়তি ভালোলাগাও কাজ করছে। নগরীর সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পেয়েছে।

গাছগুলোতে শোভা পাচ্ছে নীল কৃষ্ণচূড়া, রাধাকৃষ্ণ, লাল কৃষ্ণচূড়া, কাঠ গোলাপ। গোলাপী, বেগুনি, লাল, নীলসহ নানা রঙয়ের ফুলে ফুলে এ এক অন্যন্য সৌন্দর্য ছড়িয়েছে পুরো নগরীজুড়ে। কোথাও কোথাও সড়কের মাঝে ফুটেছে সূর্যমুখি।

সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, পুরো নগরীকে সবুজ হিসেবে গড়ে তুলতে সিটি করপোরেশন থেকে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। সড়ক বিভাজনগুলোতে বিভিন্ন গাছ লাগানো হয়েছে। সেগুলোতে ফুল ফুটেছে যা নগর সৌন্দর্য বাড়িয়েছে। সারাবছর যাতে সবুজ আর ফুলের সৌন্দর্য মানুষ উপভোগ করতে পারে, সেজন্যও কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ইউকে/কেএস/এসএম