এসডিজি অর্জনে গণমাধ্যমের প্রতি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ভূমিকা তুলে ধরার আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক: ক্ষুধামুক্ত পৃথিবী, মানসম্মত শিক্ষা এবং একটি শান্তিপূর্ণ সমাজের মতো সাসটেইনেবল উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে ধর্মীয় গোষ্ঠী এবং সম্প্রদায়গুলোর একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। গণমাধ্যমের উচিত ধর্মীয় বিশ্বাস ও উন্নয়নের সংযোগস্থলে আলোকপাত করা। বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজশাহীতে আয়োজিত এক কর্মশালায় এমনটাই বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।

সেন্টার ফর কমিউনিকেশন অ্যাকশন বাংলাদেশ (সি-ক্যাব) রাজশাহীর সাংবাদিকদের নিয়ে এ কর্মশালার আয়োজন করে। এসডিজি এজেন্ডায় ধর্মীয় নেতাদের ভূমিকা এবং ধর্মীয় বিবেচনার বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়ার্ল্ড ফেইথস ডেভেলপমেন্ট ডায়ালগের সহযোগিতায় রাজশাহীর একটি সম্মেলন কক্ষে এই কর্মশালা আয়োজন করা হয়।

এসডিজি-১৬ এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে একটি শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ অর্জনে সংবাদমাধ্যমগুলো কীভাবে ধর্মীয় বিশ্বাসের খবরগুলো আরও ভালভাবে কভার করতে পারে সেই সম্পর্কে ধারণা বাড়াতে বিভাগীয় পর্যায়ে এই কর্মশালাটির আয়োজন করা হয়।

‘এসডিজি অর্জনে ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ভূমিকার বস্তুনিষ্ঠ কাভারেজ জোরদার করা’ শীর্ষক এ কর্মশালায় দ্বন্দ্ব-সংবেদনশীল সাংবাদিকতা এবং দ্বন্দ্ব সমাধানের সর্বোত্তম অনুশীলনসহ বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।

এছাড়া এসডিজি-১৬ অর্জনের লক্ষ্যে একটি শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমৃদ্ধ সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যে পক্ষপাতিত্ব, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য এবং ভুল তথ্য প্রকাশিত না করার জন্য আলোকপাত করা হয় এই কর্মশালায়।

কর্মশালার মডারেটর এবং সি-ক্যাবের কার্যনির্বাহী পরিচালক সৈয়দ জেইন আল মাহমুদ বলেন, ‘এসডিজি অর্জনের জন্য সব ধর্মের সাধারণ মানবতার বার্তা এবং সমস্ত ধর্মের শান্তিপূর্ণ অগ্রগতির সংবাদ সেগুলো প্রতিবেদনগুলোতে ব্যবহার করা দরকার।’

বাংলাভিশনের জ্যেষ্ঠ বার্তা সম্পাদক আবু রুশদ মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘এসডিজি বাস্তবায়নে বিভিন্ন অনুসারীদের অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি, তা না হলে প্রতিটি সমাজের, প্রতিটি দেশের বড় একটি অংশ এর বাইরে থেকে যাবে।’ এতে প্রিন্ট, টেলিভিশন ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরা অংশ নেন।

ইউকে/এএস