বিএনপিকে নিয়ে আক্ষেপ সিইসির

বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: একদিকে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অন্যদিকে তারাই বলছে, এখনও নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশটুকু হয়ে ওঠেনি। রাজনৈতিক সংকট সমাধানের পথ কী- তা নিয়ে মতপার্থক্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে। সংকট কাটাতে বিএনপিকে গতানুগতিক সংলাপের জন্য ইসি ডাকলেও তাতে সাড়া মেলেনি। এ অবস্থায় বিএনপিকে নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কিছুটা আক্ষেপ জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে দেশের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও সম্পাদকদের সঙ্গে ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: গণমাধ্যমের ভূমিকা, জাতির প্রত্যাশা’ শীর্ষক কর্মশালায় সিইসির বক্তব্যে এমনটা উঠে এসেছে।

সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমাদের বিষয়টা হচ্ছে, আন্তরিক যে পরিবেশ সেটা অনুকূল হয়ে উঠুক। এজন্য সবাইকে নিরন্তর আহ্বান করে যাচ্ছি, সংলাপ করেছি। যারা নির্বাচনে আসতে চান না তাদের আমার পক্ষ থেকে আধা সরকারিপত্র দিয়েছি। কিন্তু সাড়া পাইনি।

‘গায়ে পড়ে আক্রমণ করলে পাল্টা হামলা অবশ্যই হবে’‘গায়ে পড়ে আক্রমণ করলে পাল্টা হামলা অবশ্যই হবে’
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর রাজনৈতিক কৌশল তাদের নিজস্ব ব্যাপার। তাদের নিজস্ব কৌশল থাকতে পারে। আমরা তার মধ্যে অনধিকার চর্চা করবো না।

এর আগে গত ২৩ মার্চ বিএনপিকে সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে এই চিঠি পাঠান কাজী হাবিবুল আউয়াল। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘আপনি নিশ্চয়ই অবগত আছেন সিইসি হিসেবে আমি বিগত বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি তারিখে দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। আমার সহকর্মী নির্বাচন কমিশনাররাও একই তারিখে দায়িত্ব নিয়েছেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই আমরা স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের সময়োচিত হওয়া নির্বাচনগুলো ধারাবাহিকভাবে অনুষ্ঠান করে আসছি। জাতীয় সংসদের দ্বাদশ সাধারণ নির্বাচন আগামী ডিসেম্বর কিংবা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমান নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গুরুত্ব অনুধাবন করে এ বিষয়ে সদিচ্ছা ব্যক্ত করে আসছে।’

এতে আরও বলা হয়, ‘বিএনপি প্রথম থেকেই বর্তমান নির্বাচন কমিশনের ওপর অনাস্থা ব্যক্ত করে এই কমিশনকে প্রত্যাখান করে এসেছে। আপনারা নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্তও বারবার ব্যক্ত করেছেন। আপনাদের নিজস্ব দলীয় রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ও কৌশল বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনোরূপ মন্তব্য নেই। তবে নির্বাচন কমিশন আপনাদের দ্বারা প্রত্যাখাত হলেও মনে করে দেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে আনুষ্ঠানিক না হলেও, অনানুষ্ঠানিক আলোচনা ও মতবিনিময় হতে পারে। অধিকন্তু স্মর্তব্য যে, বিএনপি নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত দল। বর্ণিত কারণাধীনে আমি নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আপনাকে আপনার দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দসহ প্রয়োজনে সমমনা দলগুলোর নেতৃবৃন্দসহ নির্বাচন কমিশনে সাদর আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। সময় সম্মত হলে, দিনক্ষণ আলোচনা করে নির্ধারণ করা যেতে পারে। প্রত্যুত্তর প্রত্যাশা করছি।’

ইউকে/এএস