উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে পুঠিয়ায় এনসিডি কর্নারের সেবা কার্যক্রম

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলনায়তনে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স তথা উপজেলা সরকারী হাসপাতাল থেকে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে এনসিডি কর্নারের কার্যক্রম তুলে ধরা ও সকল প্রাপ্তবয়সীদের কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে রক্তচাপ পরিমাপ, উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের বিনামূল্যে এনসিডি কর্নার থেকে ওষুধ সরবরাহসহ কম্যুনিটি পর্যায়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সিএইচসিপি ও কম্যুনিটি গ্রুপের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) দুপুর ১২টায় এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নন-কম্যুনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল-এনসিডিসি প্রোগ্রাম ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের  উদ্যোগে এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলী মাজরুই রহমান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন এর বিভাগীয় প্রোগ্রাম অফিসার এহসানুল আমিন ইমন, সার্ভিলেন্স মেডিকেল অফিসার ডা. আল আমিন সরকার, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মৌসুমী রহমান, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দিলারা বেগম, হার্ট ফাউন্ডেশনের ফিল্ড মনিটরিং অ্যাসিস্ট্যান্ট সোহাগ হোসেন।

বক্তারা বলেন, অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের কারনে সারা দেশে মৃত্যুর মিছিল ক্রমেই লম্বা হচ্ছে। বাংলাদেশে শতকরা ৭০ ভাগ মৃত্যুর জন্য দায়ী উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ। এর মধ্যে হৃদরোগ, স্ট্রোকসহ সিভিডি জনিত মৃত্যু হার শতকরা ৩৪ ভাগ। শতকরা ১৯ ভাগ অকাল মৃত্যুর জন্য দায়ী এ সমস্ত অসংক্রামক রোগ। সরকার এই পরিস্থিতি উন্নয়নের জন্য উপজেলা হাসপাতালে এনসিডি কর্নার চালু করেছে। সেখান থেকে রেজিস্ট্রেশনকৃত উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ প্রদান করা হচ্ছে। উপজেলা সরকারী হাসপাতাল থেকে রেজিস্টার্ড রোগীদের মধ্যে প্রায় ৬০০ জন উচ্চ রক্তচাপ, ৮০০ জন ডায়াবেটিস ও ৮০০ জন জন উভয় রোগে আক্রান্ত রোগী প্রতিমাসে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ পাচ্ছেন। আগামীতে প্রাপ্ত বয়সী সকল এলাকাবাসীকে কমিউনিটি ক্লনিক থেকে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস সনাক্ত করে এনসিডি কর্নার থেকে সেবা গ্রহনের তথ্য তুলে ধরেন।

কর্মশালায়, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সরকারের এই কার্যক্রমকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী, মসজিদের ইমামসহ অন্যান্য ধর্মীয় নেতা ও স্কুল কলেজের শিক্ষকদের ভূমিকার ওপর জোড় দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণে উপজেলার ২৮টি কমিউনিটি ক্লিনিকের সকল সিএইচসিপি ও কম্যুনিটি গ্রুপের সভাপতিরা উপস্থিত ছিলেন।

ইউকে/এএস